এইচআরডব্লিউও চায় র‌্যাবের বিলুপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) । সেই সঙ্গে সরকারের সমালোচকরা যেসব আইনের মাধ্যমে নিগৃহীত হতেন, সেসব আইন বাতিল ও আইনিপ্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। পুলিশ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী র‌্যাব অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী জানায় এইচআরডব্লিউ ।

বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার এ সংগঠন। সেখানে এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারও আগের মতো গ্রেপ্তার, ধরপাকড় শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী

কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদ্ধতিগত যেসব সংস্কার দরকার, সে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কাজে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

২০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছে এইচআরডব্লিউ। নতুন করে এসব সুপারিশ করতে মানবাধিকারকর্মী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কর্মরত, সামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।

সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে আগামী জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা উচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এ সরকারের পরও যেন সংস্কার হয়, সেজন্য এটা করা উচিত। পাশাপাশি বাংলাদেশের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত দাতা দেশগুলোর। এর আগে বাহিনীগুলোর আমূল সংস্কার দরকার।

সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। পুলিশ আবারও নির্বিচারে মানুষকে আটক করছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গণফৌজদারি অভিযোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে পুলিশ যে কাউকে গ্রেপ্তারের সুযোগ পাচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহেণর দুই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। হত্যা, দুর্নীতি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে মামলায়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ৪০০ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর