উত্তর খুঁজছে পুলিশ

৩০ মার্চ ২০২১

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে কোণঠাসা থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা হঠাৎ করেই কেন পুলিশের প্রতি মারমুখী হলো— সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন, হামলার ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আসল তথ্য পাওয়া যাবে। আপাতত পুলিশ মনে করছে, তাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত।

 

হেফাজতের মোদিবিরোধী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) বিক্ষোভে হামলা ও গুলি চালানোর প্রতিবাদে সোমবার (২৯ মার্চ) দলীয় কর্মসূচি পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপি। এই সময় ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও। হামলার পর নগর মহিলা দলের সভানেত্রীসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপি বলছে, তারা কোনও হামলা করেনি। বরং তাদের ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।   

 

বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর রাজু জানান, সোমববার দুপুর ৩টার দিকে নগরের কোতোয়ালী থানার নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন নেতৃত্বে একটি মিছিল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসার কথা ছিল। শাহাদাত হোসেনের মিছিল আসার পরই পুলিশ মারমুখী অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উসকানীতে লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

 

সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমিতো দীর্ঘদিন এদের ডিল করছি দক্ষিণের ডিসি হিসেবে। হঠাৎ পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের এমন মারমুখী আচরণকে পরিকল্পিত। তারা আজকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই হঠাৎ করে পুলিশের ওপর মারমুখী আচরণ শুরু করে। তাদের হামলায় আমাদের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছে। গাড়িতে আগুন দিয়েছে। বোমাবাজি করেছে। তিনি বলেন, তারা কেন এই হামলা করেছে তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তাদের ১৫ জন আটক আছে। অভিযান চলমান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই এর উত্তর মিলবে। হঠাৎ করেই এতো মারমুখী হবার কোনও কারণ ছিল না। তারা পরিকল্পিতভাবেই এমন হামলা করেছে।

 

নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা লিখিতভাবে সিটি এসবি থেকে অনুমতি নিয়েছি। গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা কেন বুঝলাম না। দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর রাজু বাংলাদেশ২৪অনলাইন ডট কমকে বলেন, নগরে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয়েছি আমরা। পুলিশ বিনা কারনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কোনও হামলা করেনি। পুলিশই আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ অন্তত ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

 

 

ডিকেটি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর