হেফাজতকে প্রতিহত করতে হবে: ১৪ দল

৩০ মার্চ ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে হেফাজতে ইসলাম চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। তাদের প্রতিহত করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাই রাজনৈতিকভাবে সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে ১৪ দলকে। এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার (২৯ মার্চ)  ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।


সভায় আমির হোসেন আমু বলেন, মোদির স্লোগানটি তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। দেশের উন্নয়নের সামনে বিকল্প কিছু না পেয়ে ধর্মান্ধের স্লোগান ছাড়া তাদের সামনে কিছু ছিল না। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা না। তারা সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেয়,এই সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান পাকিস্তান থেকেই চলে আসছে। বারবার সাম্প্রদায়িকতার  আশ্রয় নিয়ে দেশের ওপর আঘাত করতে চায়। সরকরের  উদ্দেশে আমু বলেন, এগুলোকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। কঠিনভাবে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে তা অশনি সংকেত। এটা বন্ধ করতে না পারলে, আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে হেফাজত দাঁড়িয়ে গেছে। তারা রাষ্ট্রীয় উদযাপনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আমরা নির্মূল করতে পারিনি। হেফাজতের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে প্রমাণ করেছে বিএনপি। এদের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকার সুযোগ নেই। দৃঢ়হস্তে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ১৪ দলকে কর্মসূচিতে দিতে হবে।

গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিদকার বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বসে নেই। দলমত নির্বিশেষে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। দমন করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাদের দমন করতে হবে। গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এদের বরদাশত করা যাবে না। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, সাম্প্রদায়িক হানা ও উসকানি দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তাদের কঠোর হস্তে দমনে প্রশাসনের দুর্বলতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদের কঠোর হস্তে দমন না করতে পারলে সামনের দিকে কী হবে, জানি না। 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর