নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দেশের গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখা হবে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আসন্ন রমজান মাসে ও গ্রীষ্মে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি থাকবে না। সেচ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি জানান তিনি।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। গ্রীষ্ম মৌসুমে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এটা হয় দুটি কারণে। এর একটি সেচ, সেচের জন্য প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত লাগে। সেচের বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অন্য কারণটি হচ্ছে এসি। আগে গরমে এসি শুধু শহরের মানুষ ব্যবহার করলেও এখন গ্রামের মানুষও এসি ব্যবহার করেন। এসির জন্য প্রায় ৫-৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি রাখা হলে ২-৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এসব বিবেচনায় আমাদের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে