যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজার বাদে বাকি সব বাজারে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর) রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলার। রপ্তানির এ অংক গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের অর্ধেক হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে। বড় এ বাজারে রপ্তানির পরিমাণ ৯৮৭ কোটি ডলার। সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানির পরিমাণ গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ইতালি ও ডেনমার্কে ৫০ কোটি ডলার বা তার বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন ও ইতালি বাদি বাকি দেশগুলোতে ১০ শতাংশের বেশি রপ্তানি বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জার্মানিতে ২৪৭ কোটি, স্পেনে ১৭০ কোটি, ফ্রান্সে ১০৯, নেদারল্যান্ডসে ১০৬, পোল্যান্ডে ৭৯, ইতালিতে ৭৭ ও ডেনমার্কে ৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে পোল্যান্ডে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ আর সর্বনিম্ন স্পেনে ৩ শতাংশের কাছাকাছি রপ্তানি হয়েছে।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৩৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৯–২০ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনা দেখছেন তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে তাদের ক্রয়াদেশ সরাবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে