একদম দুয়ারে কড়া নাড়ছে মুসলিম ধর্মালম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রোজ। এ বছর রমজান ঘিরে বাজারে এখনো ভোগ্যপণ্যের দাম অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে, তবে কিছুটা সংকট রয়েছে ভোজ্য তেলের।
এদিকে রমজানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন মুসলমানরা। রমজান উপলক্ষ্যে প্রতিটি নিত্য পণ্যের দোকানের সামনে রয়েছে ভিড়। দরদাম করে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।
বাজারের তথ্য বলছে, ইফতারের অন্যতম পণ্যগুলোর মধ্যে বিদেশি ছোলা ১১০-১১৫ টাকা, বুটের বেসন ৯০-১৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও বড় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, মুড়ি ৮৫ টাকা এবং বিভিন্ন খেজুর ২১০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে খোলা আটা ৪২ টাকা, প্যাকেট আটা ২ কেজি ১০০ টাকা, প্রতিকেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা, দেশি চিনি ১৪৫ টাকা, সয়াবিন এক লিটার ১৭৫ টাকা, দুই লিটার ৩৫০ টাকা ও ৫ লিটার ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ডিম ১৩০ টাকা ডজন, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, ইলিশ ১ হাজার টাকা, পাঙাশ ২৪০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা ও বড় রুই মাছ ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওদিকে সবজির বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। ঢাকায় ১০০ টাকা হালি, ঢাকার বাইরে একশ থেকে দেড়শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্য। শাক সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৪০-৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, লাল মূলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ফালি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় রোজা ঘিরে এবার স্বস্তি রয়েছে বাজারে। তাদের মতের সঙ্গে মিলিয়ে একই কথা বলছেন বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, হুট করেই কোনো কিছুর দাম বাড়েনি এবার। বরং আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। যেটা বেড়েছে তা আগেই বেড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য পণ্য পযাপ্ত পাওয়া গেলেও বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। মুদি দোকানিরা বলছেন, পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আগে দুই কার্টুন তেল নিয়ে আসতাম। এখন তেল দেয় দুই তিন পিস। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি, কাকে রেখে কাকে দেবো।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে