চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলছে ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে আবার ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ডিসেম্বরে নির্বাচন করার কথা বলছে। আর ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের কথা বলছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। ইনোভিশন বাংলাদেশ নামে একটি গবেষণা সংস্থার জরিপে এ কথা বলা হয়েছে।
দেশের ৬৪ জেলার মোট ১০ হাজার ৬৯০ জন এ জরিপে অংশ নেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশার মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ৬৯ দশমিক ৬ শতাংশ জন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চায় ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলছে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ। পাশাপাশি সরকারি সেবায় দুর্নীতি কমানোর প্রত্যাশা করেছেন ২১ দশমিক ৮ শতাংশ জন। মূল্যস্ফীতি বিষয়ে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ মনে করেন, এটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ৪২ দশমিক ৩৩% মনে করেন এটা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। ৫৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ জন মনে করেন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে এটা।
জরিপের তথ্য বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া মানুষের মধ্যে ৬২ শতাংশ জন ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তারা কাকে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ তাদের পছন্দের দলের কথা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ, আওয়ামী লীগের পক্ষে ১৪ শতাংশ, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির পক্ষে ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ মত প্রকাশ করেছেন। ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি- তারা কাকে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন, প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ জন সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে