হঠাৎ করেই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। স্বজন এমনকি বাবার দ্বারাও মেয়েকে ধর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে মানুষ, আদালত চত্বরে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার (৯ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে  এ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন, ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা এবং এক মাসের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। আর বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিটি ধর্ষণ মামলার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে দ্রুত মামলার কার্যক্রম শেষ করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।  সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে এ সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।  

ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার বুলিং–সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করার দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে