তালিকায় নাম থাকলেও ভিজিএফের চাল পায়নি ৪০ দরিদ্র পরিবার

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
২৯ মার্চ ২০২৫

পাবনার চাটমোহরে দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) তালিকায় নাম থাকলেও চাল পায়নি ৪০ দরিদ্র পরিবার। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নালিশ দিয়েছেন বঞ্চিতরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, চাল বিতরণের বিষয়ে তাদের খবর না দিয়ে এবং কার্ড না দিয়ে তাদের নামের বিপরীতে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে। তবে  কিভাবে চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে, চাল আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি তারা। তাদের দাবি হচ্ছে- এ ঘটনার সঠিক তদন্ত  এবং দোষী দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্তসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার।


বঞ্চিতদের একজন চরনবীন গ্রামের আল আমিন হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তালিকায় আমার নাম থাকলেও ভিজিএফের চাউল আমি পাইনি। কবে, কখন ও কাদের চাল দেওয়া হয়েছে, সেটাও জানি না। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাকে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানায়নি বলেও জানান তিনি। চাল না পাওয়ার কথা বলছেন চরনবীন গ্রামের আরেক বাসিন্দা মো. ছানু আলী। তার কথায়, "আমি কোনো চাল পাইনি। আমার ভোটার আইডি কার্ড নেয়নি। কার্ডের বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি, আমি কিছুই জানি না।’ সাবেক ইউপি সদস্য শফির কাছে থাকা তালিকায় তার নাম রয়েছে বলেও জানান তিনি। ভুক্তভোগীদের মধ্যে আরেকজন একই গ্রামের আলহাজ্ব উদ্দিন বলেন, ভিজিএফ কার্ড কোনো দিন পাইনি। শফি মেম্বারের কাছে তালিকায় আমার নাম আছে। আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু জানায়নি। আমার নামের চাউল কোথায় গেলো জানি না।

হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তার ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড ১১০টি।  এর মধ্যে দলীয়ভাবে ৪০টি কার্ড বন্টন করা হয়। বাকিগুলো তিনি বিতরণ করেছেন। দলীয়ভাবে বরাদ্দের তালিকা যথা সময়ে না পাওয়ায় পুরাতন তালিকা থেকে ৪০ জনের নাম দিয়ে ডিও করানোর জন্য ইউএনওর কাছে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর কার্ড দেওয়া হয়।

হান্ডিয়াল ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণের  দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ছিলেন উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জরুরি মিটিং থাকায় চাল দেওয়ার দিন আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক মুসা নাসির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, একটি অভিযোগপত্র এসেছে জেনেছি। তবে এখনও আমি হাতে পাইনি। অভিযোগপত্র দেখে তদন্ত সাপেক্ষে যদি কারও অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 



মন্তব্য
জেলার খবর