নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মাছ হাট সংলগ্ন সরকারি ২০ বর্গমিটার জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই জায়গা লীজ গ্রহিতার কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় কিনে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এক ব্যবসায়ী। এদিকে ঘটনাটি জানার পর উপজেলা প্রশাসন নির্মাণ কাজ বন্ধ ও স্থাপনা ভাঙার নির্দেশ দিলেও সেটা গায়ে মাখছে না অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যবসায়ী ২০০৭ সালে ওই জায়গাটি লিজ নেয়। এরপর সেখানে টিনশেড ঘর তুলে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি মোটা অঙ্কের টাকায় সেই জায়গা তার ভাগনে সজলের কাছে বিক্রি করেন। এরপর সজল ইটের পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন সেখানে। আব্দুল মজিদ ও সজল উভয়েই চাঁচকৈড় বাজার পাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার আগে ওই জায়গাটিতে একটি ক্লাব ঘর ছিল। সেখানে থেকে হাট-বাজার পরিচালনা করা হতো। ২০০৬/৭ সালের দিকে আব্দুল মজিদ ওই ক্লাবের একাংশ সরকারীভাবে লীজ নেন।
গুরুদাসপুর পৌর ভূমি অফিস সূত্র জানায়, চাঁচকৈড় মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২০ বর্গমিটারের সরকারি জমিটি ২২৩/৬-৭ কেস মূলে একসোনা হিসেবে লীজ নেন আব্দুল মজিদ। কিন্তু লীজভুক্ত জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই।
অভিযুক্ত সজল বলেন, তিনি সরকারি ওই জমিটি ক্রয় করেননি। তার মামার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ইটের স্থাপনা তৈরী করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, সরকারি সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ও সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মানের সুযোগ নেই। লীজ গ্রহীতা আব্দুল মজিদকে ডেকে নির্মানকৃত স্থাপনা ভাঙতে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা না ভাঙলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে