চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশ হবে। এ বছরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ১০.২ শতাংশে। এদিকে পাল্টা শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা স্বল্প মেয়াদে সমাধান হতে পারে।
এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি মনে করছে এ বছর মূল্যস্ফীতি ১০.২ শতাংশে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও আগামী বছরে কমে ৮ শতাংশে নামতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী অর্থবছরে জিডিটি বেড়ে হতে পারে ৫.১ শতাংশ।
আগামী জুনের মধ্যে এনবিআরকে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় ৭.৯ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতে ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপি। ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিপুল অর্থপাচারই এর কারণ।
আমদানি ও বিদেশি ঋণের দেনা এবং রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন পায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে, বাকি ২৩৯ কোটি ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি জুন মাসে পাওয়ার কথা রয়েছে।
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন ও লুটপাটের কারণে বাজেটের বড় ঘাটতি পূরণ করা হতো ঋণের মাধ্যমে। যেখানে বাজেট ও জিডিপির আকার বছর বছর বাড়লেও এর তুলনায় অনেকটাই কম রয়েছে রাজস্ব আদায়। সবশেষ এ হার দাঁড়িয়েছে ৭.৪। এতে প্রতি অর্থ বছরে লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় কম হয়। তাই ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পেতে জুনের মধ্যেই জিডিপির তুলনায় ৭.৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে।
বিডি২৪অনলাইনি/ইএন/এমকে