২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এলডিসি উত্তরণবিষয়ক এক সভা হয়েছে। সেখানেই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস বিফ্রিংয়ে জানানো হয়, অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন- এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে আমাদের। এখন পূর্ণ উদ্যমে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এলডিসি উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো খাত যেন কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়ে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আর এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
এলডিসি উত্তরণের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটারিং করতে প্রধান উপদেষ্টা একটি ডেডিকেটেড টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বারবার বলে আসছেন অধ্যাপক ইউনূস। আজকের সভাও বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের পরে এ কাজে যেন আরও গতি পায়।
ওদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানান, পোশাকসহ রপ্তানি খাতের কোথাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য এ ইস্যুগুলোতে দ্রুতগতিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের শ্রম পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতাদের শর্ত পূরণের অনেক জায়গায় দ্রুত উন্নতি ঘটবে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে