নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার নামে আদায় করা চাঁদার সিংহভাগ চলে যেত আয়দায়কারীসহ মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মজিদের পকেটে। এ চাঁদা থেকে বিএনপি নেতার ভাগ চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) হাট অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও ইজারাদার রুবেল আহম্মেদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার সিধুলী-চলনালী-পোয়ালশুড়া হযরত ওসমান গণি (রা.) ক্বওমি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার নিকটবর্তী অস্থায়ী বাজার থেকে রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা। সম্প্রতি মাদ্রাসার পক্ষে যুব সমাজের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ওই নেতার চাঁদা আদায়ের ঘটনা আড়াল করতেই  চাঁদার ভাগ চাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজের নামে। সংবাদ সম্মেলনের ওই অসার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান হাটের ইজারাদার ।

সংবাদ সম্মেলনে ধারাবারিষা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন কাওছার, আলাউদ্দিন চুনু, মাহমুদুজ্জামান সোহাগ,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ফারুক আহম্মেদ, যুবদল নেতা অরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের স্বপন আহম্মেদ, আশরাফুল আলম আছাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন রুবেল আহম্মেদ। মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে মাদ্রাসা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসুচী পালন করে আসছেন। আসামীদের জামিন না হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মজিদ। ১৫ বছর ধরে তার নেতৃত্বেই উঠানো চাঁদার মোটা অংশ তিনি ও  তার সহকারীরা ভোগ করে আসছেন। তার দাবি মাদরাসার নামে তোলা অর্থ সম্পুর্নরুপে মাদরাসার স্বার্থেই ব্যয় করা হোক।

মাদ্রাসার সভাপতি ও আ.লীগ নেতা আব্দুল মজিদ বলেন, সরকার পতনের পরে তিনি সভাপতি পদে থাকলেও কোনো কার্যক্রমে নেই। তার সিদ্ধান্তের বাইরে ওই মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে