যুক্তরাষ্ট্র তাদের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে প্রতি মাসে গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের শুল্ক পরিশোধের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। অথচ গড়ে ৩-৪ শতাংশের বেশি লাভ করতে পারেন না প্রধান রপ্তানি এ খাতের উদ্যোক্তারা। এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার কারখানার অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে। তাই এ শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার উত্তরার জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন এ শিল্প সংশ্লিষ্ট এবং তৈরি পোশাক খাতের নেতারা।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আওতায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এ ঘোষণা আসার এ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের জন্য ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের জন্য ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ স্থগিতাদেশ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান বক্তরা। সেই সঙ্গে স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার আগেই স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা। ৯০ দিন পার হওয়ার পর শুল্কের বেড়াজালে যেন আর পড়তে না হয়, সে জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল নেতা আবুল কালাম, প্রধান সমন্বয়কারী ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য আসিফ আশরাফ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম প্রমুখ।
বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে