গ্রামের দুই প্রতিবেশীর মাধ্যমিক স্কুল পড়ুয়া ছেলে ও মেয়ের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের সুত্রধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় প্রেমিকা। এমন পরিস্থিতিতে প্রেমিকার বাবাকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে না দিতে পরামর্শ দেন হেলাল আলী। সেই সঙ্গে অনশনরত মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেন তিনি। এরপর মেয়ের বাবা তার মেয়েকে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রেখে পরদিন একটি অপহরণ মামলা করেন। আর সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে হেলাল আলীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের বেড়গঙ্গারামপুর এলাকায়। ভুক্তভোগী হেলাল আলী মঙ্গলবার(২২এপ্রিল) দুপুরে নাজিরপুর ব্রীজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার দাবি প্রশাসনের কাছে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিজের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা।
হেলাল আলী বলছেন, শুধু আমাকে আসামিই করা হয়নি। আমার ব্রয়লার মুরগীর খামার পুড়িয়ে দেওয়াসহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, বেগঙ্গারামপুরে মানিক প্রামানিকের ছেলে আব্দুল্লাহর (১৮) সঙ্গে তার প্রতিবেশী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার স্ত্রীর মযাদা দেওয়ার দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান নেন সেই প্রেমিকা। প্রেমিকের চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশি হেলাল আলী মেয়েকে বুঝিয়ে তার বাবার সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু মেয়ের বাবা পরদিন হেলাল আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন।
ওই মেয়ের চাচা ফরিদুল ইসলাম বলেন, তার ভাতিজী মানিক প্রামানিকের বাসায় অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জেনে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে বলেন তারা। কিন্তু মেয়েকে ফিরিয়ে না দিয়ে তিনদিন সময়ক্ষেপণ করা হয়। পরে উল্টো তাদের নামে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। মেয়েকে ফিরে পেতে তারা মামলা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে