দেশের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রায় অধিকাংশ সবজির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। ঢাকার বাইরেও ৪০-৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না বেশির ভাগ সবজি। শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে স্বস্তি ছিল, গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পাওয়া গেছে। কিন্তু বর্তমানে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংসার খরচে বাড়তি টান পড়েছে সাধারণ মানুষের।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজারের তথ্য বলছে, সবজির মধ্যে বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। কাঁকরোল ও সজনে ডাটার দাম আকাশছোঁয়া, মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে- করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে। এসব সবজির কেজির দাম রয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দাম বিক্রি হচ্ছে আলু, ২০-২৫ টাকা কেজি। সালাদ জাতীয় সবজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। নিত্য দরকারি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবহন খরচ। বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয় তাদের। ব্যবসায়ীদের হিসাবে- বাজারে বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া।
ব্যবসায়ীদের মতে, শীতের পর আগের মতো এখন সহজে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে সবজি আনতে খরচ বেশি পড়ছে। তাছাড়া এখন বাজারে আসা সবজির চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেটাও দামের উপর প্রভাব ফেলছে। বাড়তি পরিবহন খরচও দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে, আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই। ফলে আড়তেই দাম বেশি। দ্রব্যমূল্যের এ পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের বেশিরভাগকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের। অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে সবজি কেনেন, তার কয়েক গুণ বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ তাদের। বাজার মনিটরিংয়ে সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি করা ঠিকমতো হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।
বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে