৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনে ফন্টের কারণে গত ২৬ এপ্রিল খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রোববার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় এ ১০ জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের ব্যাখ্যায় এ কথা জানায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বার্তায় বলা হয়, এদিনে গ্রিড নেটওয়ার্কে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বিকাল ৫টায় মোট জেনারেশন ছিল ১৪ হাজার ৫২০ মেগাওয়াট এবং সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ৫০.৪ হার্জ। এ অবস্থায় ৫টা ৪৫ মিনিটে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনে ফল্ট সংঘটিত হয়। ফরে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের যশোর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া উপকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ১০টি জেলায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে।
বার্তায় আরও বলা হয়, এদিকে ২৩০ কেভি ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-ঝিনাইদহ লিংকটি চালু থাকায় ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি লেভেলে সংযুক্ত ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রগুলো চালু ছিল। এ ২৩০ কেভি লিংক ব্যবহার করে পাওয়ার গ্রিডের এনএলডিসি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া উপকেন্দ্রগুলো চালু করা হয়। ফলে ওই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
অন্যদিকে, ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনের সংঘটিত ফল্টে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা), ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল, ৩০৭ মেগাওয়াট বরিশাল ইলেকট্রিক, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট রামপাল, ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা নতুন বিদ্যুৎ ও ২২৫ মেগা ভোলা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্লক-২ ট্রিপ করে প্রায় ২ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। ৬টা ১৯ মিনিটে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট-১ এবং ৬টা ২৫ মিনিটে সার্কিট-২ চালু করা হলে ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ-আমতলী লিংকটি সচল হয়।
এমতাবস্থায়, সিনক্রোনাইজিং বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ফলে সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা) বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং ৭টা ৮ মিনিটে ইউনিট-২ সিনক্রোনাইজ করা হয় এবং ৭টা ৩০ মিনিটে ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রও গ্রিড নেটওয়ার্কে সিনক্রোনাইজ করা হলে রাত ৯টায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়।
বিডি২৪অনলাইন/এনই/এমকে