null
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশে রেমিট্যান্স বাড়ছে। প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। চলতি এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত হিসাবে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৭ বিলিয়নের কাছাকাছিতে পৌঁছেছে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। রোববার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্রস ও বিপিএম-৬ হিসাবের বাইরেও কেন্দ্রী ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে।ব্যয়যোগ্য এ রিজার্ভের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুব প্রকাশ করা হয় না। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে এ রিজার্ভের পরিমাণ হিসাব করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে। সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ থাকতে হয় কমপক্ষে ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান। নিট রিজার্ভ গণনা হয় সাধারণতা আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ হিসাব অনুসারে। রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দেনা বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে,গত মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন। দেশের ইতিহাসে একক মাস হিসেবে এটা সর্বোচ্চ রিজার্ভ। চলতি এপ্রিল মাসের ২৬ দিনে ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন ডলারের।
এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে। এ মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর ধারাবাহিক ভাবে ২ কোটি ডলারের ওপর আসছে রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার এসেছে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে