‘ভাড়া নৈরাজ্য’ বন্ধের দাবি

০২ এপ্রিল ২০২১

দেশে গণপরিবহনে ‘ভাড়া নৈরাজ্য’ ও যাত্রী দুর্ভোগ বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এই সঙ্গে
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের
ভাড়ায় ‘যত সিট তত যাত্রী’সিস্টেমে ফেরত আসার দাবি জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১
এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বিবৃতিতে সই
করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা ছাড়া অফিস আদালতসহ কর্মসংস্থানের
সব কার্যক্রম চালু রেখে দেশব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শুরু হওয়া ‘অর্ধেক যাত্রী
বহন’ সফলতা আসবে না। রাইট শেয়ারিংরের মোটরসাইকেল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সব
শ্রেণির গণপরিবহনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। চালক, যাত্রী ও
পরিবহন শ্রমিকদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে
হবে।অন্যথায়, কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী দুর্ভোগের যাবতীয় দায়িত্ব
সরকারকে নিতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর
জন্য বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে
না। এতে কর্মজীবী, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের সাধারণ লোকজন, কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া
দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সিটি সার্ভিসের
বাসগুলো চলাচলের ফলে রাস্তায় প্রতিটি বাস স্টপেজে শত-শত যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা
করতে হচ্ছে। এতে নারী, শিশু, অসুস্থ রোগী ও অফিসগামী যাত্রীরা অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়ছেন।
হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিটি রুটে চলাচলকারী
গণপরিবহনের যাত্রী-শ্রমিক বসচা, হাতাহাতি ও মারামারি চলছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনাকালে পরিবহন সেক্টরে কোনও প্রকার ভুতর্কি না দিয়ে, যাত্রী
সাধারণের সঙ্গে কোনও প্রকার আলাপ-আলোচনা ব্যতিরেকে, মালিকদের প্রস্তাব মতো বাসের
ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে সরকার । ফলে দেশব্যাপী চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের সঙ্গে
লেগুনা, হিউম্যান হলার, টেম্পু, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইক, নসিমন-
করিমন, টেক্সিক্যাবসহ সব যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এতে যাত্রীদের স্বার্থ
চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। ভাড়ার নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বেড়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর