প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়ছে এবং বাড়তেই থাকবে।সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ
বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ
বাড়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এই মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আ
হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে
হয়রানি করা হয় না, সময় মতো এর উপকারভোগীর হাতে পৌঁছে যায়। এটাও রেমিট্যান্স
বাড়ার আরেকটি কারণ। প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নানামুখী
পদক্ষেপ নিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, করোনার মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন
প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সর্বশেষ মার্চে প্রবাসীরা ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের (১.৯১ বিলিয়ন)
রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদন
বলছে, মার্চ পাঠনো এই রেমিট্যান্স আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১০
শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য
বলছে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চ)রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮
লাখ ডলার। মার্চে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে
৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ
ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ডলার আর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের
মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
এমকে