ইতিবাচক অবস্থায় অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক

০৫ এপ্রিল ২০২১

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়ছে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সন্তোষজনক রিজার্ভ, চলতি হিসাবের লেনদেনে উদ্বৃত্ত অবস্থা, মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে— অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে সমৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসা সম্ভব হবে।

 

রোববার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাজেট ২০২০-২০২১: দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে  উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে এনবিআরের কর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। এটা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৯৫ শতাংশ বেশি।  করোনার প্রভাব সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে নানারকম সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান থাকায় রাজস্ব আদায়ের হার আশাব্যঞ্জক। সরকারি ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় সরকারি ব্যয় ১০.৫৮ শতাংশ কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মোট বরাদ্দের ২৪.৩৩ শতাংশে, বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৭.৪৩ শতাংশ।  কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাস্তবায়ন অগ্রগতি কিছুটা পিছিয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে প্রবাস আয় হয়েছে ১৬.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিগত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭.৫৯ শতাংশ, বিগত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫.৫২ শতাংশ।  সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় ও রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করাসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম নেওয়ার কারণে প্রবাস আয়ের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৪৩.১৭ বিলিয়ন ডলারে। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রফতানি আয় ১৯.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০.৩৬ শতাংশ কম।  আমদানি ব্যয় ৬.৮ শতাংশ কমে ২৫.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।  করোনার প্রভাবে শিল্প খাতের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কম হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর