সরকারি সেচ প্রকল্পে লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম

২৩ জানুয়ারী ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

৮০০ ফুট দূরত্বে অন্য জন্যকে সেচ লাইসেন্সের দেওয়ার নিয়ম, কিন্তু দেওয়া হয়েছে ৪০০ ফুটের মধ্যেই। এতে উভয় সেচ মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সরকারি সেচ প্রকল্পে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতির কাছে ১৭টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ অনিয়মের সঙ্গে প্রকল্পটির ধুনট-শেরপুর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) আসমাউল বিন হোসেন জড়িত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ধুনট উপজেলায় গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৬০০টি আবেদন জমা পড়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) শেরপুর জোনাল অফিসে। তন্মধ্যে ২০৬টি আবেদন ধুনট উপজেলার সেচ কমিটির সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে সম্প্রতি। 

ধুনট উপজেলার উজালশিং গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নলকূপ (সেচ) স্থাপনের অনুমোদন পান। তার নলকূপ থেকে ৪০০ ফুটের মধ্যে অন্য অরেকজনকে নতুন লাইসেন্সের অনুমোদন দিয়েছেন আসমাউল বিন হোসেন। সরেজমিন তদন্ত না করেই ঘুষ নিয়ে এ  অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গোপালগর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, গত ৪ বছর আগে তিনি সেচের লাইসেন্স পেয়েছেন। কিন্তু নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাত্র ৪৫০ ফুট দূরত্বে জহুরুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেচের লাইসেন্স প্রদান করেন আসমাউল বিন হোসেন।

অভিযুক্ত বিএডিসি-এর উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) আসমাউল বিন হোসেন বলেন, সেচ কমিটির সরেজমিন তদন্তের দায়িত্বে থাকলেও ব্যস্ততার কারণে অন্য কর্মকর্তাদের দিয়ে মাঝে-মধ্যে মধ্যে তদন্ত করানো হয়। ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, কৃষকের আবেদনের ভিত্তিতে বিএডিসি কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন, এরপর সেচ কমিটির সভায় তা অনুমাদন দেওয়া হয়। নতুন লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে অনেকগুলো অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগ  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, অনুমোদনযোগ্য না হলে সংশ্লিষ্ট সেচের লাইসেন্স বাতিল হবে।

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর