পঞ্চগড় সংবাদদাতা
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা অমান্য করে খোলা রাখা এক দোকানে যাওয়ায় কাপড় ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েছেন এসিল্যাণ্ড। উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পঞ্চগড় বাজারে।
জানা গেছে,বাজারটির আলহাজ্ব ক্লথ ষ্টোরটি খোলা ছিল। সেখানে যান সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এসিল্যাণ্ড ফিরে গেলেও ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার দাবিতে শহরের শেরে বাংলা চত্বরের সামনে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কসহ করতোয়া সেতুর উত্তর প্রান্তে বাঁশ ফেলে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। অবরোধকারীদের অভিযোগ, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও পঞ্চগড়ের সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মেই। বালু পাথর পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে, সেখানে কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে না। এমনকি তাদের জরিমানাও করা হচ্ছে না। অথচ কাপড়ের দোকান খোলা থাকায় জরিমানা করতে আসছে প্রশাসনের লোকজন। তারা বলছেন, করোনার শুরু থেকে লোকসানের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র মালিকরা। কর্মহীন ছিলো কর্মচারীরাও। এখন আবারো দোকান বন্ধ রাখতে হলে বড় আকারের লোকসানে পড়তে হবে।
পঞ্চগড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমাদের এক দোকান মালিকের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এই ঘটনায় আমাদের নামে যেন কোন মামলা না হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছিলাম । পরে সবাই একসাথে সড়কে থাকার কারণে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বহিরাগত কিছু লোকজন অবরোধ করে। এতে আমাদের বস্ত্র মালিক ও কর্মচারীরা জড়িত ছিল না।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জানান, দুজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে পঞ্চগড় বাজার মনিটরিং ও পরিদর্শনে যাই। এসময় আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে চলে যায়। আলহাজ্ব ক্লথ ষ্টোর নামের ওই কাপড়ের দোকান খোলা দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের নির্দেশনার বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। কিন্তু এসময় ওই দোকানের মালিকসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা হট্টগোল শুরু করে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ীরা এটা করেছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং তারা দোকান খোলা রাখার দাবি করেছে। এটা যেহেতু ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত। তাই আমরা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রাখি না। তারপরও আমরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ না করে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার জন্য বলেছি। পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে।
আবু নাঈম/এমকে