চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলায় আহত কোদালা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ (৫৪) মারা গেছেন। বুধবার (৭ মার্চ) রাত একটার দিকে (মঙ্গলবার দিনগত রাত) নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। এদিকে তার মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বিবৃতি দিয়েছেন, বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন।
রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘মুহিবুল্লার খুনিরা অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। আমরা অবশ্যই এটি নিশ্চিত করব।’
জানা যায়, হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে ৩ এপ্রিল রাতে কোদালা ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত ইসলাম ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকেই মুহিবুল্লাহসহ যুবলীগের স্থানীয় তিন নেতার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তারা আহত হন। তাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার মাথা ও শরীরে কয়েকশ আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। মুহিবুল্লাহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, এই হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুটি মামলাতে হেফাজত ও বিএনপির ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আহত আওয়ামী লীগের নেতার মৃত্যুতে মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
ডিকেটি/এমকে