নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষে নতুন পরিষদ গঠনের আগ পর্যন্ত পৌরসভায় কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার। সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা সরকার উপযুক্ত মনে করে এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। আর যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাদিক্রমে ১২ মাস বেতন বকেয়া থাকলে পরিষদ বাতিল হবে। এমন বিধান থাকা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিল-২০২২ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। একাদশ সংসদের চলমান অধিবেশনের রোববারের (২৩ জানুয়ারি) বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিলটি পাস হওয়ার পরে পৌরসভা ঘোষণা করতে হলে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে দুই হাজার হতে হবে।
মতামত জানাতে সংসদ থেকে বিলটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সাতদিনের মধ্যে মতামত জানাতে হবে কমিটিকে। এরপর পাসের জন্য সংসদে ওঠবে আবারও। উত্থাপিত বিলে পৌরসভার সচিবের পদের নাম বদলে ‘পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা’ করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন পৌরসভা গঠন হলে বা কোনো ইউনিয়নের অংশবিশেষ পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে বিলুপ্ত ইউনিয়ন বা বিলুপ্ত অংশে কর্মরতরা পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, পৌরসভা ঘোষণা করতে হলে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে দেড় হাজার হতে হবে। পৌরসভা ঘোষণার পর পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেবে। পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। পৌর পরিষদের মেয়াদ পাঁচ বছর শেষ হলেও নতুন পরিষদ প্রথম সভায় মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের পরিষদ দায়িত্ব পালন করতে পারে।
এমকে