দিনে দিনে ভয়াবহের দিকে এগোচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক শনাক্তের হার ৩১ ছাড়িয়েছে রোববার (২৩ জানুয়ারি)। এখনও সংক্রমণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরেই প্রাধান্য বেশি। তবে ডেল্টার জায়গা একটু করে দখলে নিচ্ছে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন। মুখে ঠিকমতো মাস্ক পরাসহ করোনা সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পুরোটা না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে সময় নেবে না- এমন আশঙ্কার কথা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির শুরু থেকেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মুখে ঠিকমতো মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি পুরোটাই মানার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি মৃত্যু হার কমাতে করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। প্রাধান্য ও জায়গা দখলের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি।
নতুন বছরের শুরুর আগেও দৈনিক শনাক্তের হার ২-৩ শতাংশের নিচে ছিল। বছর শুরু থেকেই সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গতবছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় করোনার ডেল্টা ধরণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করা হয়। তখন অনেকটাই থমকে দাঁড়ায় অর্থনীতি। সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ফের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে ওমিক্রন ধরণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটাও বাড়ছে। রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকলে, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে নিজেদের মতো চলে রোগী সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।
ওমিক্রনের লক্ষণের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র জানান, ওমিক্রন ধরণে সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ শতাংশের সর্দি, ৬৮ শতাংশের মাথা ব্যথা, হাঁচি ৬০ শতাংশের, গলা ব্যথা ৬০ শতাংশের এবং ৪৪ শতাংশের কাশি রয়েছে। আর ৬৪ শতাংশ অবষণ্নতা বা ক্লান্তি অনুভব করছে। লক্ষণের সঙ্গে মৌসুমি জ্বরের মিল রয়েছে। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে রোগীদের।
এমকে