জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিতে নতুন গতিসঞ্চার করবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার (৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ দূত জন কেরির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বিকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান জন কেরি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎ বৈঠকে কেরি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তারাও বাংলাদেশকে কোভিড-১৯-এর টিকা দিতে পারে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে টিকা উদ্বৃত্ত হবে। দূষণের ঝুঁকি হ্রাস করতে জলবিদ্যুতের পাশাপাশি সৌরবিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিকল্প শক্তির উৎস ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশেষ দূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো অন্যদের সঙ্গে অংশীদার হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র সবুজ জলবায়ু তহবিলে এক মিলিয়ন ডলার ছাড়াও আরও দুই মিলিয়ন ডলার দেবে।
দেশের উন্নয়নের জন্য জ্বালানি প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নিঃসরণকারী (কার্বন) নয় এবং নিঃসরণে যাদের অবদান নগণ্য, তারাও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সৌর সংযোগ রয়েছে। সৌরশক্তি সেচের জন্য প্রয়োজন।শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকবিলায় অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। সরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। খবর বাসস।
এসময় আগামী ২২-২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভার্চুয়াল লিডার্স সম্মেলনে যোগদানে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান জন কেরি। অন্তত ৪০টি দেশ এ সম্মেলনে অংশ নেবে। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার উপস্থিত ছিলেন।
এমকে