রোযা শুরুর আগেই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চাল, খেজুর, সয়াবিন তেল, মসলা, সবজি, ব্রয়লার মুরগি, আলু, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র হিসাবে গত এক সপ্তাহে ২১টি পণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘লকডাউন’র কারণে নতুন করে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
বিভিন্ন অযুহাতে কয়েক মাস ধরে দাম বাড়ছে জিসিনপত্রের। দাম বাড়তে থাকায় সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
টিসিবি’র হিসাবে, গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানি করা আদার দাম, আগের সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১৫০ টাকা।সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ।
খুচরা ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বাজারে রোজায় প্রচলতি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মোকামে দাম বেশি।
এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। গরিব মানুষকে মোটা চাল কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ টাকা দিয়ে। দাম বেড়েছে অন্য চালেরও, প্রতিকেজি মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা,পাইজাম ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, সপ্তাহ আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। শুকনা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, সাত দিন আগের আগের দাম ২৮০ টাকা। আমদানির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ১১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগের ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজির মাঝারি মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। একই ভাবে ১২১ টাকার খোলা সয়াবিন ১২৫ টাকা, ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা, ৩৫ টাকার দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ১২০ টাকার সাধারণ মানের খেজুর ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।
টিসিবি’র হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি মাঝারি মানের মসুর ডাল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, আমদানি করা পেঁয়াজ ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, খেজুর ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আলু ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে ৩ শতাংশ, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ, পাম অয়েল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমকে