নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত বিলে কেবল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে কিছুটা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়া বিলের বাকি ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই তাদের। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সুপারিশ করার কথা জানান কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। বুধবার সংসদ অধিবেশনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন হবে।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের রোববারের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেখান থেকে ৭দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষাসহ প্রতিবেদন (মতামত) জানাতে এ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। বিলটির বিষয়ে পরীক্ষাসহ প্রতিবেদন জানাতেই বৈঠকটি হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান বলেন, বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে কমিটি। বিলে যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে- সিইসি ও কমিশনার হতে হলে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।
এমকে