সাতদিন বন্ধ থাকবে অফিস ও গণপরিবহন

১২ এপ্রিল ২০২১

আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি অফিস ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে শিল্প কারখানা। বাস, ট্রেন, নৌ ও বিমান (আভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক) সহ সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করবে না এ সময়ে। অতি জরুরি প্রয়োজন (যেমন ওষুধ ও নিত্যপন্য ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার, টিকা গ্রহণে যাতায়াত ) ব্যতীত ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।  করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে সাতদিনের জন্য এমন বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাকি বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে- বন্ধকালে এসব অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শিল্প কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে আনা-নেওয়া করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তেরা দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা ও রাত বারোটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা যাবে। অন্য দোকাপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপন্য সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত সময়ে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। বোরো ধান কাটার ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে শ্রমিক পরিবহনে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।

পত্রে বলা হয়েছে- আইনশৃঙ্খলা, পন্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থাসহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লি্ষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। জরুরি পরিষেবার মধ্যে রয়েছে- কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, গ্যাস/জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি. ফায়ার সার্ভিস, করোনা ও অন্যান্য টিকার জন্য যাতায়াত, সব ধরনের বন্দরের (স্থল, নৌ ও সুমদ্রবন্দর) কার্যক্রম, সরকারি ও বেসরকারি ইন্টারন্ট ও টেলিফোন, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-জেলা ও মাঠ প্রশাসন কার‌্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মা ও তারাবি নামাজের জামায়েতের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সম্পুরক নির্দেশনা জারি করতে পারবেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অধনস্ত আদালতের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন বলেও পত্রে জানানো হয়।

 

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর