করোনার সংক্রমন রোধে সরকারের তরফ থেকে আরোপিত বিধিনিষেধ মেনে চলার সাতদিনে চালু থাকা শিল্প কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। শ্রম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সোমবার (১২ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ২৩ কমিটিকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। করোনাকালে কর্মহীন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া আর্থিক সহায়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। একইসঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ তৎপর হতে হবে। ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে ছুটির বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরও একটি সভা আহবান করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই এর সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল প্রমুখ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের সাতটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা।
এমকে