জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত বিলে বর্তমান ও আগের- কোনও নির্বাচন কমিশনকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। এ বিলের মাধ্যমে ২০১২ এবং ২০১৭ সালে ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির অনুসরণকৃত প্রক্রিয়াকে আইনের অধীনে আনা হচ্ছে। এ আইন করার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়নি বা গোপনীয়তাও ছিল না। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার কখনও ইনডেমনিটি দেয় না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আরও জানান, আইনটি পাস হলে ইতোপূর্বে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং এ বিষয়ে কোনও আদালতে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। তিনি জানান, বিলের খসড়টি মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ল’লেজিসলেটিভ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এখানে গোপনীয়তা কোথায়?
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে দুটো জিনিস আছে- একটা ইনডেমনিটি, বাকিটা লিগ্যাল কাভারেজ। ইনডেমনিটি হচ্ছে মাফ করে দেওয়া, আইনের আওতা থেকে বের করে দেওয়া। লিগ্যাল কাভারেজ হচ্ছে আইনের ভেতরে আনা। দফা ৯-এ কারও কৃতকর্মকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি।
প্রস্তাবিত এ আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসি গঠনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’একাদশ জাতীয় সংসদের রোববারের (২৩ জানুয়ারি) বৈঠকে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। সাত দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে মতামত জানাতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয় সেখান থেকে। সোমবার বিলটি নিয়ে মতামত জানাতে সংসদ ভবনে আলোচনায় বসে কমিটি। সেখানে দুটি বিষয় পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমকে