সরকারের কোনও সমন্বয়, পরিকল্পনা, রোডম্যাপ নেই

১৪ এপ্রিল ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের কোনও সমন্বয়, পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, ‘এই যে ৭ দিনের লকডাউন দিয়েছে, তার পরে কী হবে?’  জনগনকে সম্পৃক্ত ছাড়া  করোনা মোকাবেলা অত্যন্ত কঠিন।মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে  এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের খাওয়ার তারা কী ব্যবস্থা করছেন? এ লোকগুলোকে ঘরে রাখতে পারবেন না। যার পেটে ভাত নেই, তাকে লকডাউন, করোনা দিয়ে কী করবেন?

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যাপারটা সহজ নয়, নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কঠিন। এখানে আলাউদ্দিনের চেরাগ কারও হাতে নেই যে মুহূর্তে ঠিক করে ফেলবেন। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বলতে চাই, এখানে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রত্যেকটা এলাকাতে জাতীয় কমিটি তৈরি করতে হবে। সব রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠন, এনজিও, বিশেষজ্ঞ- তাদের নিয়ে কমিটি তৈরি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ কমিটি তদারকি করবে ঠিকমতো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি-না। বাংলাদেশে তো ইতিহাস আছে- আমরা বন্যা, সাইক্লোন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। সেভাবেই যদি জনগণকে সম্পৃক্ত না করেন, তাহলে তারা সুফল পাবে না। জনগণকে সরকার সম্পৃক্ত করতে চায় না। একমাত্র কারণে তারা লুটপাট করবে, টাকা চুরি করে নিয়ে যাবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপি লকডাউনের বিরোধিতা করছে না।এখন পর্যন্ত দেখছি- অকার্যকর একটা শাটডাউন করছে। হাজার হাজার লোকজন বেরুচ্ছে, হাজার হাজার লোক বাজারে যাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানা খোলা রেখেছে। কোনও পরিকল্পনাই নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ গণবিচ্ছিন্ন সরকার লকডাউনের নামে একটা অকার্যকর শাটডাউন জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এখানে না লকডাউন না শাটডাউন। পত্রিকাতে দেখছেন- নিউ মার্কেট এলাকায় হাজার হাজার মানুষ, ফেরিতে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ- এগুলো হচ্ছে তাদের লকডাউনের নমুনা। এখানে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে দিন আনে দিন খায় মানুষজন। এটা সরকারের দায়িত্ব এ মানুষগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করা।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর