চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গহিরায় শেখ ইব্রাহীম জামে মসজিদে খাটিয়া ও উন্নয়ন কাজ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে বুধবার বিকালে। মসজিদ প্রাঙ্গনের এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের বড় ভাই। বিষয়টি শুনলেও কোন অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন।
আবদুল্লাহ আল মামুনের বড় ভাইয়ের নাম সাইফ উদ্দীন খান সাবু। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক প্রবাসী মসজিদের জন্য একটি উন্নতমানের খাটিয়া দেন। এ খাটিয়া ফেরত দিয়ে দেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া মসজিদের চলমান কাজ বন্ধ রাখার জন্যও শ্রমিকদের নির্দেশ দেন। এনিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আবদুল্লাহ আল মামুন, তার সৎ ভাই সাইফ উদ্দিন খান সাবু ও তার ভাতিজা মো. রিদোয়ানের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খাটিয়া নিয়ে সবার মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া মসজিদে টাইলস মিস্ত্রি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ও এসির মিস্ত্রি কাজ করছিল। হঠাৎ মামুনরা এসে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে। এনিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে একে-অপরের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকে মসজিদ কমিটির সঙ্গে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। কাউন্সিলর আলমগীর আলী মসজিদের কোন কিছুতেই নেই, তার সাথে কথা-কাটাকাটি হয়নি। তিনি হঠাৎ করে এসে, ‘অনেক হয়েছে, অনেক দিন ধরে কাণ্ডগুলো দেখছি’ উল্লেখ করে গুলি চালান। তার গুলিতে আমার ভাই আহত হয়। আমি নিজ চোখে দেখেছি- উনি কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার ভাইকে গুলি করতে। তবে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আলমগীর আলী। স্থানীয়রাও কেউ গোলা-গুলির ঘটনাটি স্বীকার করেননি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, পশ্চিম গহিরায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। গুলি করার সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিকেটি/এমকে