সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটা কর্তৃত্ববাদী একদলীয় সরকারকে পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে শুধু বিএনপি, বাম জোট, ইসলামী দল, হেফাজত বা অন্যান্য দল নয়; সবার ওপরে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। কারণ যেন কোনো বিরোধী কন্ঠ উচ্চারিত না হয়, ভিন্ন মত না আসে– এটাই হচ্ছে তাদের প্রধান লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রশ্নটি ছিল- সরকার হেফাজত ইসলামকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির ওপর নির্যাতন বাড়াচ্ছে কি-না?
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, ‘লকডাউন’ কে কেন্দ্র করে তারা (সরকার) একটা ক্র্যাকডাউনে নেমেছে। ক্র্যাকডাউনে নেমে তারা বিএনপির নেতাকর্মী, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ক্র্যাকডাউনের এ সুযোগটা নিয়ে তারা (সরকার) বিরোধী দলের বাড়িতে হামলা করছে। সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না।
মির্জা ফখরুল জানান, এখন পর্যন্ত বিএনপির ১৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র দলের গ্রেফতার হয়েছেন ৮১ জন। যুবদলের গ্রেফতার হয়েছেন ৩০ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে এবং তাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা প্রত্যাহারসহ দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
এমকে