চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
চট্রগ্রামে বিক্ষোভরত বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের ওপর চালানো পুলিশ গুলিতে কমপক্ষে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আর ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৬০জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। ইফতারের জন্য সময় বরাদ্দ, বেতন-ভাতাসহ ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন শ্রমিকরা। শ্রমিক নিহতের খবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ব্যাপক ভাংচুর ও গাড়ী জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪) ও রাহাত (২৪)। চমেক হাসপাতালে মৃত একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা যায়, সকালে শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বাধে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র যৌথভাবে নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপ ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে এ ঘটনায়। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ৭ শ্রমিককে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
গুণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, লেবারের মধ্যে সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। লেবারদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয় না। সেখানে যারা লেবার সাপ্লাই করে, তারা সবাই চট্টগ্রামের বাইরের। ‘চায়নারা টাকা দিচ্ছে না, তাই বেতন হচ্ছে না’ বলে শ্রমিকদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে তারা। সেখানে চায়নাদের সাথে যারা দোভাষী হিসেবে কাজ করে, তারা আর এক দালাল। তারা চায়নাদের উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে থাকে। আর এখানে শ্রমিকদের মাঝে ৯৫ শতাংশ চট্টগ্রামের বাইরের। যদিও প্রকল্পের প্রথমেই একটা শর্ত ছিল এলাকার লোকজনদের চাকরি দিতে হবে। তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
ডিকেটি/এমকে