চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট চালুর দাবিতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম বিমান অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের প্রবাসীরা। লকডাউনে আটকেপড়াদের ফেরত পাঠাতে নির্ধারিত ফ্লাইটের অর্ধেকই বাতিল করার খবর শুনে বিক্ষোভ করেন তারা। চট্রগ্রাম বিমান অফিসটি নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেটে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে মোট ১৪টি ফ্লাইট আসা ও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের অনুমতি না মেলায় ও যাত্রী সংকটের কারনে ৭টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করতে তারা বাধ্য হয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রবাসী যাত্রীরা জানায়, বিদেশে ফিরতে তারা টিকিট কেটে রেখেছেন। এর মধ্যে ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। লকডাউনের মধ্যে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গ্রাম থেকে এসে এখন শুনছেন- ফ্লাইট বাতিল। তাই ক্ষুদ্ধ তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকে ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট কেনেন। ফ্লাইট বাতিল হলে ট্রাভেল এজেন্টদের মোবাইলে তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিমানের পক্ষ থেকে। কিন্তু অনেক সময় ট্রাভেল এজেন্টদের কাছ থেকে এ তথ্য যাত্রীরা পান না। এতে তারা দুর্ভোগে পড়েন।
এর আগে লকডাউনে আটকেপড়া প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে শনিবার সকাল থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা পাঁচটি।
ডিকেটি/এমকে