বগুড়া প্রতিনিধি
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে (‘লকডাউন’ এ) বগুড়ার শেরপুরে গরীর দুস্থ ও কর্মহীনদের সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক ফয়সাল সোহাগসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কাছে থেকে বিকাশের মাধ্যমে এ টাকা নেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এমডি পরিচয়ে জনৈক ব্যক্তি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফারুক ফয়সাল সোহাগ। ফারুক ফয়সাল সোহাগ ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফারুক ফয়সাল সোহাগের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এমডি পরিচয়দানকারী ব্যক্তি জানান, গরীব দুস্থদের জনপ্রতি নগদ ৪ হাজার টাকা ও ৫ হাজার টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল সামগ্রী কিনে দেয়া হবে। এজন্য শর্ত হিসেবে জনপ্রতি পনের শ’ টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হবে। এলাকার গরীব দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে ওই শর্তে নিজেকে সামিল করেন সংশ্লিষ্ট পৌর কাউন্সিলরা। শর্ত অনুযায়ী কথিত এমডি পরিচয়দানকারী ব্যক্তির দেয়া ০১৮৮২-০৮৯৮৬৭,০১৮২৩ ০১৯৫৩৪, ০১৯৪৮ ৫৭০২৯৯, ০১৫৩৭ ৩৬৬৫৬৬,০১৭৮৯ ২৬৮৯৭৫ মোবাইল নম্বরে ধাপে ধাপে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন ফারুক ফয়সাল সোহাগ। কিন্তু নিত্যপণ্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে এমডি’র পরিচয়দানকারী ব্যক্তির একাধিক মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করার পরিবর্তে উল্টো কাউন্সিলর সোহাগকে প্রাণনাশসহ নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, শুধু ওই কাউন্সিলরই নয়, এমন প্রতারণার শিকার হয়েছে এ পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্সিলররা।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফারুক ফয়সাল সোহাগ বলেন, পৌর এলাকার গরীব, দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করবে, এমন প্রতিশ্রুতিতেই আমি সরল বিশ^াসে প্রলুব্ধ হয়ে এ প্রতারণা শিকার হয়েছি। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এমডি’র পরিচয়ে ফোন প্রাপ্তির এমন সত্যতা স্বীকার করে শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ জানে আলম খোকা বলেন, গরীব দুস্থদের তারা কিছু সহযোগিত করতে চান, এ বিষয়ে মেয়রের সহযোগিতা চেয়ে পরদিন সাক্ষাতের কথা বলেছেন তারা। কিন্তু পরে আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনার অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমকে