কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুখ আজম হান্নানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার বেলা ১২ টার দিকে মহেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে হান্নান কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান ও তার লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ও হান্নান গ্রুপের লোক আব্দুল্লাহ আল বাকি বাদশা জানান, ফারুখ আজম হান্নান চর মহেন্দ্রপুর থেকে একটি শালিসি বৈঠক করে ফিরে আসার সময় ফারুক খান, জেমস খান, মৃদুল খান, রায়হান খান ও মজিদ মেম্বারসহ অন্তত ২০জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হান্নানের মাথায় হাতুরী দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি।
ফারুক আহমেদ খান বলেন, সকালে চর জগন্নাথপুর এলাকার এলজিএসপির কাজের নেমপ্লেট ভেঙে ফেলার খবর পেয়ে দুই মোটরসাইকেলে চারজন মিলে বিষয়টি দেখতে যাচ্ছিলাম। পথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান ও বাদশার নেতৃত্বে ৮টি মোটরসাইকেলে ১৭/১৮ জন লোক এসে অশ্লীলভাষায় আমাকে ও আমার পরিবার নিয়ে গালাগাল করতে থাকে এবং আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে চড়াও হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এবং আমার লোকজন কম থাকায় আমি ওই এলাকা থেকে ফিরে চলে আসি। পরবর্তীতে আমার আত্মীয়-স্বজন খবর পেয়ে ছুটে এসে হান্নানকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। মারধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
ফারুক আল আজম হান্নানের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এদিকে সন্ধ্যায় এ ঘটনার জেরে মহেন্দ্রপুর বাজারে সভাপতি পক্ষের ৩টি দোকান ডাংচুর হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, শুনেছি চেয়ারম্যানের সাথে তার জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। সে কারণে হয়তো মারপিটের ঘটনা ঘটতে পারে। উল্লেখ্য, হামলাকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের ভাতিজা।
মাহমুদ শরীফ/এমকে