চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবিকার স্বার্থে ২২ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিং মল খোলাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতি। সোমবার (১৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ছালেহ আহমেদ সোলেমান সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
বাকি দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দোকান পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট খরচ ও কর্মচারী, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বাবদ খরচ নির্বাহের জন্য ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের আওতায় আনা। ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা। দোকান মালিক, কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা। ও করোনাকালীন ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সরকারি বিভিন্ন ফি (যেমন- ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ট্যাক্স) মওকুফ ও অতিরিক্ত ফি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা।
সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট-শপিংমল স্বাভাবিক নিয়মে খুলে দেওয়ার দাবিতে সম্মিলিতি ব্যবসায়ী সংগঠন চট্টগ্রামের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে ছালেহ আহমেদ সোলেমান বলেন, আমাদের সংগঠনের অধীনে প্রায় ৩ লাখ ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী ও ২০ লাখ শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে। গত বছর করোনার কারণে সরকারে দেয়া ‘লকডাউন’ পালন করেছিল চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। সরকারের আনা ভ্যাকসিনের কারণে মৃত্যুহার ও আক্রান্ত হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু এবছর আবার করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে। পরে আবার ১৪ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে আসে। কারণ আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে গত বছরেরর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে পুঁজি বিনিয়োগ, উচ্চ হারে লোন নিয়ে ব্যবসা করার প্রস্তুতি নেয়। তিনি আরও বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন ব্যবসা করতে না পারার পরও ব্যবসায়ীরা সরকারি ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট ইনকাম ট্যাক্সসহ যাবতীয় সব ফি প্রদান করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আর ‘লকডাউনের’ কারণে যদি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারে, তাহলে অনেকে দেউলিয়া হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেবে, কর্মচারীরা তাদের চাকরি হারাবে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী কাছে দোকান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে