ইসি গঠনে দ্রুত আইন প্রণয়ন ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশা

২৫ জানুয়ারী ২০২২

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নে সময় ও এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, গোপনীয়তার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে এ আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশা। জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতারণা। বর্তমান জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে বৈধভাবে নির্বাচিত নয়। তাই তার কোনও নৈতিক এখতিয়ার নেই এ ধরনের কোনও আইন প্রণয়নের। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলেনে বিষয়টি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্ালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

গত রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উত্থাপন করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেখান থেকে ৭ দিনে মধ্যে বিলটির বিষয়ে পরীক্ষাসহ প্রতিবেদন জানাতে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিটি তাদের প্রতিবেদন বুধবার সংসদে পেশ করবেন জানা গেছে।

মির্জা ফখরুলের ভাষ্যমতে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। কারণ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনও নির্বাচন কমিশনেই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে এটা প্রমাণিত হয়েছে। তাই সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, এর মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ। এর কোনও বিকল্প নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর