প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষককে সব ধরনের সহায়তা করছে সরকার।উৎপাদন দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ করতে যথাযথ মাটি পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সহযোগিতাও করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন।
কৃষকের সহযোগিতায় তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বর্গাচাষিদের জন্য বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সারের দাম বিএনপি সরকারের আমলে ৯০ টাকা ছিল, আমরা ১২ টাকায় নামিয়ে এনেছি। গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদন এবং সেই বীজ সরবরাহ করছি।তিনি বলেন, আরও অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে যাচ্ছি, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে ৭০ ভাগের ওপরে ভর্তুকি দিচ্ছি।যান্ত্রিকীকরণের জন্য হারভেস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের যন্ত্র ধীরে ধীরে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেবো।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ, প্রতিটি কৃষি-উপকরণ কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খাতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। কৃষকের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।বর্তমানে সেচ কাজে সোলার-প্যানেল ব্যবহারও আমরা শুরু করে দিয়েছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধায় কৃষক আজ কৃষি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষক একটা মোবাইল ফোন ধরে ছবি তুলে তার ফসলের কী অবস্থা, মাটির কী অবস্থা বা মাটি পরীক্ষা করা এবং কী ধরনের সার ব্যবহার করবেন, কতটুকু ব্যবহার করবেন বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন কি-না বা কতটুকু করবেন, সে ধরনের তথ্যকেন্দ্র সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি।
সরকার প্রধান বলেন, আরও নতুন নতুন ধরনের ফসল উৎপাদন, তরিতরকারি, ফলমূল এবং দানাদার খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্য যেন উৎপাদন হতে পারে, তার জন্য ব্যাপক হারে গবেষণা হচ্ছে। তিনি বলেন, ন্যায্য মূল্য যাতে আমাদের কৃষকরা পান, তার জন্য আমরা যথাযথ দাম নির্দিষ্ট করছি এবং কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, সেই সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। এবারেও একটা থোক বরাদ্দ আমরা রেখে দিচ্ছি।
এমকে