বৃষ্টিপাতের অভাবে বৈশাখের খরতাপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগের দিনের রেকর্ড ভাঙছে পরের দিনের তাপমাত্রা। আবহাওয়ার এমন আচরণে প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন কাজে।বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে করোনার কারণে অহেতুক বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা, অন্যুদিকে তাপদাহে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনশূন্য হয়ে পড়ছে রাস্তা-ঘাট, ফসলের মাঠ।
চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মঙ্গলবার রাজশাহীতে, ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিনের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড হয়েছে। আর বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দুদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। পরের পাঁচদিনে তাপমাত্রা আবারও বাড়তে পারে।সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এমকে