তারকা ক্রিকেটারে ভরা বরিশাল ফরচুন। দলটিতে সাকিবের পাশাপাশি আছেন ক্রিস গেইলও। তবে কম যায় না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা বরিশালকে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো ইমরুলের দল।
মঙ্গলবার টস ভাগ্য পক্ষে ছিল না ইমরুলদের। বরিশালের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে। দুই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও জয়ের ব্যাটে ৩৩ রান আসে। তাদের জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ডেলপোর্টের ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। এরপর কুমিল্লার সবচেয়ে বড় ভরসা ফাফ ডু প্লেসিকে (৬) দ্রুত বিদায় করেন সাকিব।
ডু প্লেসি বিদায় নেওয়ার পর কুমিল্লার রানের গতি কমে যায়। সেই চাপে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১১ বলে ১৫ রান করে শিকার হন ডোয়াইন ব্র্যাভোর। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের লাফিয়ে উঠা বল ইমরুলের ব্যাটের কানায় লেগে সোহানের গ্লাভসে জমা হয়। তবে জয় ক্রিজের একপ্রান্তে তখনও থিতু হয়ে ছিলেন। রানের চাকাও সচল রেখেছিলেন এ ব্যাটার। ৪৮ রানের মাথায় জয়কে থামান জেক লিন্টট। ৩৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কার মারে এ রান করেন তিনি। এরপর ২ রান যোগ হতেই সাকিবের বলে বিদায় নেন মুমিনুল হক। এর স্কোরবোর্ড ১৭ রান যোগ করেন।
১১৭ রানে মূল্যবান ৫ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা যখন লো স্কোরের দিকে ধুকছে, দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন আফগানিস্তানের ব্যাটার করিম জানাত। ১৬ বলে ১ চার ও ছক্কায় ২৯ রান করে অপনাজিত ছিলেন। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ৮ রান। শহিদুল ইসলাম ৫ বলে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান তোলার আগেই ওপেনার সৈকত আলীর উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর দলকে ৭ রানে রেখে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব (১)। তিনে তৌহিদ হৃদয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করে করিম জানাতের বলে যখন বোল্ড হন তখন বরিশালের সংগ্রহ ৩৪ রান।
বরিশালের উইকেট পতনের মিছিল থামাতে পারেননি গেইলও। এই ক্যারিবীয় 'ব্যাটিং দানব' ৮ বলে ৭ রান করেই বিদায় নেন ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর আশা জাগিয়েও বিদায় নেন নুরুল হাসান (১৭)। কিছুক্ষণ পর আরেক ক্যারিয়ান তারকা ব্র্যাভো ফেরেন শূন্য রানেই। এরপর একে একে একই পথে হাঁটেন জিয়াউর রহমান (০), জেক লিন্টট (৮) ও নাঈম হাসান (০)। শেষ উইকেট হিসেবে ফেরার আগে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর নামের পাশে যোগ হয় ৪৭ বলে ৩৬ রান।
কুমিল্লার পক্ষে নাহিদুল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও করিম জানাত। বাকি উইকেটটি নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
আরআই