হেফাজত ইস্যুতে সরকার সঠিক পথে সঠিকভাবেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে ১৪ দলের সবার প্রতি আহবান জানান আমু।
সভায় সমঝোতার পরিবর্তে হেফাজতে ইসলামকে শক্তভাবে দমন করার কথা ওঠে আসে বক্তাদের বক্তব্যে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আমির হোসেন আমু। আমু বলেন, ধর্মের নামে ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, সেই শক্তি আজকেও বিভিন্ন নতুন নামে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার পাঁয়তারা করছে।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, নীতির প্রশ্নে শক্তভাবে দাঁড়ালে ২০১৩ সালের ৫ মে তাণ্ডবের পরই হেফাজত প্রশ্নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, আমরা যদি নীতির প্রশ্নে শক্তভাবে দাঁড়াই, যদি আমরা শক্ত থাকি; তাহলে কোনও অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্র এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, তারা হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ইসলাম এবং বিএনপি। বিএনপি-জামাত-হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। তিনি বলেন, হেফাজত,বিএনপি ও জামাতের সঙ্গে সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই। সমঝোতার কৌশল পরিহার করে তাদের ধ্বংস এবং দমন করার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, হেফাজতের ওপর ভর করে বিএনপির ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, মৌলবাদী চেতনায় বিশ্বাসী হেফাজতে ইসলাম এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কখনও গ্রহণ করেনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
এমকে