বগুড়া সংবাদদাতা
বগুড়ার শেরপুরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রী-সন্তানসহ বারদুয়ারী হাটের সাব ইজারাদারকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে দুই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা যুবলীগের এক নেতার বাসায় মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছে বলেও বিশ^স্ত সুত্রে জানা গেছে।
মারধরের শিকার সাব ইজারাদারের নাম সেলিম তালুকদার। তিনি পৌর শহরের খন্দকারপাড়ার আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে। হাট-বাজারের ইজারা ব্যবসা তার দীর্ঘদিনের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সেলিম মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্যত্র যাওয়ায় সময় অভিযুক্তরা তাকে এলোপাথারিভাবে মারধর করতে থাকে। এসময় সেলিমের স্ত্রী-সন্তান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে প্রাননাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায় তারা। এদিকে এ ঘটনার দৃশ্য ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে বারদুয়ারী হাটের ইজারাদার শরিফুল ইসলাম শুভ’র কাছ থেকে চাউল মহলের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব নেয় ব্যবসায়ী সেলিম। এদিকে সেলিম চাউল পট্টির দায়িত্ব পাওয়ায় যুবলীগের স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও সোহাগসহ অন্যরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সেলিমকে ব্যবসা করতে দিবে না বলেও হুমকী দেয়। কিন্তু চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সেলিম।
ভুক্তভোগী সেলিম তালুকদার বলেন, প্রথমে তার স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা ও পরে আমার কাছে ১০ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা প্রকাশ্যে আমাদের মারধর করে। যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম মারামারি ও হাতাহাতি ঘটনার স্বীকার করলেও চাঁদাদাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদাদাবির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দীপক কুমার সরকার/এমকে