নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। হামলাকারীরা তাদের কাছে থেকে সরকারি অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মীর আলমগীর ও এএসআই মিকাইল। মীর আলমগীরের মাথা ও বাম হাতের কনুইয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত রয়েছে। মিকাইল হোসেনকেও লাঠি দিয়ে আহত করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের ওহিদুর সরদার এবং পাশের লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
কুমড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ সরদারের মেয়ে সোহেলী বলেন, চাচাতো ভাই চরমাউলি গ্রামের বুলু সরদারকে প্রতিপক্ষের লোক মারধর করছে, এমন খবর পেয়ে আমার ভাইয়েরা ঠেকাতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় আমার ভাইদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশের পিস্তল পড়ে যায় এবং আমরা সেটা ফেরত দিই। তবুও পুলিশ আমাদের লোকদের হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমার বাবা নাকে আঘাত পেয়েছেন। আসাদ সরদার বলেন, আমি ও আমার ভাই ইউসুফ সরদার মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর অত্যাচার করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এএসআই মীর আলমগীরের কাছ থেকে আটটি গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফরহার খান/এমকে