এ.এস লিমন, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)
করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় তরমুজ আবাদ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিন বন্ধু। তাদের ৪০ শতাংশের জমিতে মাচাভর্তি নতুন জাতের (গোল্ডেন ক্রাউন) হলুদ রংয়ের তরমুজ দেখতে ভীড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। ৭০-৮০ হাজার টাকা মুলধন খাটিয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তারা।
তরমুজের আবাদের কারণে এলাকায় আলোচিত এ তিন বন্ধুর নাম হচ্ছে- নুর আলম, মনিরুজ্জামান ও মাহাবুবুল হাসান। মেকুরটারী ও রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের বাসিন্দা এ তিন বন্ধুর তরমুজের জমিটি রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর উত্তর পাশে হরিশ্বর তালুক মৌজায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি মাচা নেট দ্বারা আবৃত। পোকা-মাকড় যেন আক্রমণ করতে না পারে, সেজন্য মাচার মাঝখান দিয়ে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ লাগানো। মাচার ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়, শ’ শ’ তরমুজ। তরমুজে মাচাগুলা ভরপুর। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাচঁটি করে ঝুলে আছে। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের। খেতে সুস্বাদ এ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল।
তিন বন্ধুর একজন নুর আলম বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে প্রায় এক বছর ধরে কলেজ বন্ধ। তাই বসে না থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা তিন বন্ধু মিলে তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হই। সম্পূর্ণ নিজস্ব র্অথায়নে এ তরমুজ লাগিয়েছি। আমদের খরচ হবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি তরমুজ বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রিয় হচ্ছে। আর ২০ হতে ২৫ দিনের মধ্যে এ তরমুজ বাজারজাত করা হবে। প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশাবাদী আমরা।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার বলেন, ওই তিন তরুণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন জাতের তরমুজের সন্ধান পান এবং অনলাইনের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে শুরু থেকে ওই তিন তরুণ উদ্যোক্তাকে প্রযুক্তিগত সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। ওই তিন তরুণদের সাফল্য দেখে অন্য চাষীরাও আগ্রহী দেখাচ্ছেন। এতে শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে কৃষি সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে। আগামী বছর এ উপজেলায় তরমুজ চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এমকে