ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক, সাংবাদিক, কবি, কার্টুনিস্ট, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এটা করছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয় বলেই সামান্যতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারছে না। এ কালো আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনরোষ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে এ আইন ব্যবহার করছে সরকার।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া না হলে সরকারকে তাদের শোচনীয় পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, দমন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপ এবং ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাট, অনৈতিকতা, অনিয়ম, বেপরোয়া আচরণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক, সাংবাদিক, কবি, কার্টুনিস্ট, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের ওপর ধারাবাহিক নিষ্ঠুর জুলুম চলছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার খর্বের পর এখন এ কালো আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য মানুষ নিজেদের কষ্ট ও ক্ষোভ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেন ব্যক্ত করতে না পারে। তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক অতিমারি করোনার মধ্যেও এ আইনের অপপ্রয়োগ করে নিজেদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, এনটিভি’র ব্যুরো প্রধান ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব। এছাড়া তিনি বিবৃতিতে দলের গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
এমকে