সরকারি গাছ বিক্রির টাকায় মসজিদের উন্নয়নে তালবাহানা

২৪ এপ্রিল ২০২১

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা

মসজিদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারি ১২টি গাছ বিক্রি করা হলেও উন্নয়ন কাজ নিয়ে এখন তালবাহানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে মুসল্লীসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে। ঘটনাটি কুষ্টিয়ার খোকসার ওসমানপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের।

অভিযোগ,  বড় আকারের বিভিন্ন ধরনের গাছগুলো গ্রাম রক্ষা বাঁধের সরকারি সড়কের। গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছে একই গ্রামের বাসিন্দা তিন সহোদর।আর মসজিদটি হচ্ছে দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ। তবে অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- গাছগুলো তাদেরই, কোনো সরকারি গাছ কাটা হয়নি বা সরকারি গাছ কেটে মসজিদের উন্নয়নের কথা বলা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাছ কাটার চিহ্ন মুছে ফেলতে গাছের শেকড় ও গর্ত মাটি ও বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার ফলে সড়ক মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতে ঘটনাস্থলে ধস দেখা দিতে পারে। আর ধস দেখা দিলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

মসজিদটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম (শহিদ মেম্বার) ও সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জেল হোসেন তুফা জানান. টিপু, ওহিদ ও বাবু- এ তিন ভাই মসজিদের কাজ করে দেওয়ার কথা বলে গাছগুলো কেটে ১ লক্ষ ২০ টাকায়  বিক্রি করেছেন। মসজিদের কাজের কথা বললে তারা এখন নানা তাল বাহানা করছেন। তাদের আচরণে মনে হচ্ছে এ টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।


অভিযুক্তদের একজন টিপু শেখের স্ত্রী নাজনীন জামান জানান, আমার শশুর এ গাছগুলো ৪০/৫০ বছর আগে লাগিয়ে ছিলেন, আমাদের জায়গাতে। সরকারি গাছ কাটা হয়নি, গাছ কাটার কথা মেম্বার, চেয়ারম্যান সব অফিসের লোক জানে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমরা মসজিদের কাজের কথা বলে গাছ কাটিনি। তবে আমরা মসজিদের কাজ এমনিতেই করে দিতে চেয়েছি, গাছ বিক্রি করে নয়। সময় সুযোগ মতো মসজিদের কাজ করে দেবো।

ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আনিচুর রহমান জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বেশ কিছু দিন আগে গ্রামের কয়েকজন লোক এসে মসজিদের উন্নয়ন কাজ করার জন্য পাশের গাছ কাটার কথা বলেছিলো। মসজিদ আল্লাহ’র ঘর, মসজিদের কাজের কথা বলায় সম্মতি দেই। তবে মসজিদের কথা বলে সরকারি সড়কের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করলে ব্যাপারটি দুঃখজনক।


মাহমুদ শরীফ/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর